
প্রকাশিত: Fri, Feb 24, 2023 4:03 PM আপডেট: Tue, Jun 17, 2025 11:03 PM
সাজা শেষ না হলে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না: ব্যারিস্টার শফিক
এম এম লিংকন: আইন অনুযায়ী, দণ্ডিত ব্যক্তির রাজনীতি করার ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ নেই। সরকারের চারজন মন্ত্রী এ নিয়ে মতামত দিয়েছেন ভিন্ন ভিন্ন। আর খালেদা জিয়ার নির্বাচন করতে পারবে কি না সেটা নির্বাচন কমিশন দেখবে বলে মতামত দিয়েছেন আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ স্থানীয় নেতা। কিন্তু দলীয়ভাবে এই বিষয়ে কোন এখনও কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি বিএনপি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহম্মেদ আমাদের নতুন সময়কে বলেন, আইন অনুযায়ী কোন নাগরিক দুই বছরের অধিক সাজাপ্রাপ্ত হলে তিনি নির্বাচন করার অযোগ্য। সাজা শেষ না হলে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। তবে, শর্তসাপেক্ষে তার সাজা স্থগিত এবং আপিলের বিষয়টিও রয়েছে। তাই এই বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এই বিষয়ে রাজনীতিবিদরাই বলতে পারবে। এটাও দেখতে হবে, কী শর্তে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত রাখা হয়েছে। খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, খালেদা জিয়ার দণ্ডের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল পেন্ডিং রয়েছে। এ অবস্থায় তিনি রাজনীতি এবং নির্বাচন দুটিই করতে পারবেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার সাজা সরকারের নির্বাহী আদেশে স্থগিত করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে বাসায় অবস্থান করছেন। সুতরাং এই মুহূর্তে জেল কোডের কোনো বিধিবিধান তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
এই বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম বলেন,খালেদা জিয়া নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে কি না তা নির্বাচন কমিশন দেখবে। সব কিছুই সাংবিধানিকভাবে হবে।
এদিকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, তবে, রাজনীতি করতে কোনো বাধা নেই। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের মতে, শর্ত অনুযায়ী খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারেন না। আর নির্বাচনের তো প্রশ্নই আসে না।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা নিয়ে কারাগারে যান খালেদা জিয়া। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শেষে ওই বছরের অক্টোবরে সাজা বেড়ে দ্বিগুণ হয় বিএনপি নেত্রীর। একই মাসে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় আরও ৭ বছরের সাজা হয় তার।
২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ার সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তার জামিনের আবেদন বারবার নাকচ হওয়ার মধ্যে স্বজনরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে মুক্তির আবেদন নিয়ে যান। আর সরকারপ্রধানের নির্বাহী আদেশে ওই বছরের ২৫ মার্চ ছয় মাসের জন্য মুক্তি পান তিনি। এরপর ছয় মাস অন্তর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আরও সংবাদ
[১]মানুষ প্রতিটি হত্যার নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচার চায়: জি এম কাদের [২]ছাত্রদের ৯ দফায় সমর্থন
[১]শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘাত এড়াতে নিজেদের কর্মসূচি বাতিল করেছি: ওবায়দুল কাদের
[১]শিক্ষার্থী বনাম সরকার গেইম খেলে ফায়দা লুটতে চায় একটি মহল: ওবায়দুল কাদের
[১]নির্যাতন যত বাড়বে, গণপ্রতিরোধ ততোই দুর্বার হবে: মির্জা ফখরুল
[১]শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিন আওয়ামী লীগের মাসব্যাপী কর্মসূচি
[১]জামায়াত নিষিদ্ধ নিয়ে মির্জা ফখরুল বললেন, স্বৈরাচার সরকাররা এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়

[১]মানুষ প্রতিটি হত্যার নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচার চায়: জি এম কাদের [২]ছাত্রদের ৯ দফায় সমর্থন

[১]শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘাত এড়াতে নিজেদের কর্মসূচি বাতিল করেছি: ওবায়দুল কাদের

[১]শিক্ষার্থী বনাম সরকার গেইম খেলে ফায়দা লুটতে চায় একটি মহল: ওবায়দুল কাদের

[১]নির্যাতন যত বাড়বে, গণপ্রতিরোধ ততোই দুর্বার হবে: মির্জা ফখরুল

[১]শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিন আওয়ামী লীগের মাসব্যাপী কর্মসূচি
